রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:০১ অপরাহ্ন

ধূমপান মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে

ধূমপান মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে

সত্যিকার অর্থেই ক্যানসার এক ভীতিকর শব্দ। এটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মৃত্যু পথযাত্রী অস্থিচর্মসার কারো মুখ! এমন মনে হওয়া অস্বাভাবিক নয় এ কারণে, বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর গড়ে এক কোটি ২৭ লাখ মানুষ বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং এদের মধ্যে প্রায় ৭৬ লাখ মানুষ মারা যায়। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটি ৬০ লাখ এবং মারা যাওয়ার সংখ্যা পৌঁছবে এক কোটি ৭০ লাখে। আর মারা যাওয়ার ৭০ শতাংশই আমাদের মতো গরিব মানুষ।

ক্যানসার হলে মৃত্যু অনিবার্য- এটি প্রবাদতুল্য বাক্য। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের উৎকর্ষে প্রবাদটির তুল্য এখন অনেকটাই মূল্যহীন। ক্যানসারে আক্রান্ত হলেই এখন আর মরতে হয় না। সুস্থভাবে বেঁচে থাকায়- এমন উদাহরণ অনেক। শুধু তা-ই নয়, ক্যানসার প্রতিরোধও করা যায়।

ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার অনেকগুলো কারণের একটি তারুণ্যের ফ্যাশন ধূমপান। এমন কোনো ক্যানসার নেই, যেটির সঙ্গে ধূমপানের সম্পর্ক নেই। আমাদের দেশের ২৫ শতাংশ ক্যানসার রোগীর ৯০ শতাংশই ধূমপায়ী। শুধু এটি পরিহারের মাধ্যমে ক্যানসার আক্রান্তের ঝুঁকি অনেকাংশ কমানো যায়। মদ্যপান মুখ, গলা, যকৃৎ, খাদ্যনালি ও স্তন ক্যানসারের জন্য দায়ী। পান-সুপারি, জর্দা, তামাকপাতা মুখ ও গলার ক্যানসারের অন্যতম কারণ।

আরও কিছু কারণের মধ্যে শারীরিক পরিশ্রমে অনীহা, ফাস্টফুড, শৈশব থেকে খেলাধুলার প্রতি অনীহায় মুটিয়ে যাওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। শুধু মুটিয়ে যাওয়ার কারণে নারীদেহের জরায়ু, স্তন, খাদ্যনালি ও পায়ুপথে দেখা দিচ্ছে ক্যানসার। খাবারে ভেজাল, প্রিজারভেটিভ ও রঙিন খাবার, কম পরিমাণে ফলমূল ও শাকসবজি, আঁশজাতীয় খাবার খাওয়া এবং বেশি পরিমাণে চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়ায় বাড়ছে ক্যানসারের ঝুঁকি। পেশাগত কারণে ক্ষতিকর পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে।

এ ছাড়া ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ও যৌনরোগের কারণেও কানসার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়। ক্যানসার হওয়ার কারণগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো এড়িয়ে চলার মাধ্যমে খুব ভালোভাবে সুস্থ থাকা যায়।

কেউ আক্রান্ত হলে শুরুতেই যদি যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন, তা হলেও রোগটি নির্মূল করা সম্ভব। ক্যানসার নিরূপণের জন্য আমাদের দেশে রয়েছে বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতাল। কিছু ক্লিনিকেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোয়ও প্রাথমিকভাবে নির্ণয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। কাজেই রোগের শুরুতে চিকিৎসা নিন। সুস্থ ও ভালো থাকুন। আসুন, আমরা ক্যানসার প্রতিরোধ করি। প্রতিরোধে সবাই একসঙ্গে লড়ি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877